বাঙালি এই মহিলা বিরল কৃতিত্বের অধিকারী।
কিন্তু প্রচারের আড়ালে থাকাই পছন্দ করেন।
ইনি ডক্টর সঙ্ঘমিত্রা বন্দোপাধ্যায়।…..
উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দহের মেয়ে,২০১৫ সালে আচার্য প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশের তৈরী Indian Statistical Institute এর প্রথম মহিলা ডিরেক্টর পদে আসীন হয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন মেয়েরাও পারে ! নিঃসন্দেহে বিরল কৃতিত্ব, আমরা কিন্তু জেনেও উদাসীন!জানেন তিনি কে?
জন্ম উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দহে। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে B.Sc পাশ করার পর রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে B.Tech. খড়্গপুর IIT থেকে M.Tech করার পর কম্পিউটার সায়েন্সে পিএইচডি করেন ISI থেকে। পোস্ট ডক্টরেট করেন সিডনি ও টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। গবেষণার বিষয়বস্তু ছিলো Evolutionary computation, Pattern recognition, Machine learning এবং Bioinformatics.
বিভিন্ন সময়ে কাজ করেছেন বিশ্বের অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনাগারে। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো পরমাণু বোমার আঁতুরঘর লস আ্যলামস ন্যাশনাল ল্যাব ও মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা। ইউরোপের প্রাচীনতম জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং রোমে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিয়োরেটিক্যাল ফিজিক্স, যার প্রতিষ্ঠাতা এক নোবেলজয়ী পরমাণু বিজ্ঞানী এনরিকো ফার্মি।
কম্পিউটার সায়েন্সে তাঁর কৃতিত্বের জন্য ইতিমধ্যেই সম্মানিত হয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কারে। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে বিজ্ঞানে ভারতর সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মাননা, ‘শান্তিস্বরূপ ভাটনগর'(২০১০)পুরস্কার। এছাড়াও পেয়েছেন ইনফোসিস ও জগদীশ চন্দ্র বসু ফেলোশিপ সহ দেশ বিদেশের আরো অনেক পুরস্কার। ইনি ডক্টর সঙ্ঘমিত্রা বন্দোপাধ্যায় এবছরের একজন পদ্মশ্রী প্রাপক। নাম শোনেননি অনেকেই এবং খবরেও নেই। বর্তমানে Indian Statistical Institute এর সর্বময় কর্ত্রী হবার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান ও কারিগরি উপদেষ্টা মন্ডলীর এক অন্যতম সদস্য।
এছাড়া তিনি আমাদের দেশে 140 টির উপর গরীব ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিদ্যালয় খুলে রেখেছেন যেখানে প্রচুর গরীব ছাত্র ছাত্রী বিনামূল্যে পড়তে পারেন।তিনি তার মাইনের অর্ধেকটা গরীব মানুষদের জন্য দিয়ে দেন।এমনকি প্রতি বছর তিনি গরীব মানুষদের জন্য বস্ত্র বিতরণ করেন এই শীতের সময় তার সামর্থ্য অনুযায়ী।তিনি এই সমাজে 15 টির বেশি পঙ্গু হসপিটাল খুলেছে যেখানে বিকলাঙ্গ মানুষেরা বিনামূল্যে চিকিৎসা পান।
“বলুনতো আমরা কতজন এনার নাম জানি, যিনি নিঃশব্দে সমাজের কাজ করে চলেছেন”