মনের গভীরে – বিশ্বজিৎ সেন
— কি গো…
— কি!
— কি মানে… অফিস থেকে ফিরে সোজা রুমে চলে এলে কারোর সাথে কোনো কথা অব্দি বললে না… আবার উল্টে বলছো “কি!”
— আরে… তেমন কিছু নয় জাস্ট এমনি।
— এমনি? তুমি বলবে আর আমায় সেটা মেনে নিতে হবে?
— সত্যি… সব কিছুকে এত জটিল করে কেন দেখো। আমি না তোমাকে নিয়ে জাস্ট হাঁপিয়ে উঠছি। একটু শান্তি নেই
— …
— একদম চোখের জল নষ্ট করবে না। কিছু বললেই তো আর কিছু হোক না হোক চোখের জলটা ঠিক বেরোবেই। তাই… আগে থেকে সাবধান করে রাখলাম।
— কফি খাবে? দাঁড়াও নিয়ে আসি…
— কোথায় যাচ্ছ আমায় ছেড়ে। সবার মতোন তুমিও ছেড়ে চলে যাবে 😔…
— কোথাও যাচ্ছি না। কফি আনতে যাচ্ছি। নিয়েই চলে আসবো।
— বসো না একটু পাশে…
— বাহ!
“সে পাশে বসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো”;
— রাগটা কমলে বলে দিও… পায়েস বানিয়েছি। নিয়ে আসবো।
— রাগ কমানোর চেষ্টা বুঝি করবে না?
— উমমমম… ভাবছি।
— এত ভেবে ভেবে কাজ করলে হবে না। ইনস্ট্যান্ট কিছু ভাবতে শিখো।
— সে তো আমি অনেকদিন আগেই করে দেখিয়ে দিয়েছি।
— কি বললে? কোথায়?
— কেন; তোমার আমার বাড়ির কেউই তো বিয়ে দিতে রাজি ছিল না… আমি তো নিজেই বলেছিলাম যাই হয়ে যাক বিয়ে আমি তোমায় করবো… কি বলিনি?
— সেটা ঠিকই। তুমি জেদ না করলে হয়তো আমার একার সাহসে কুলোত না। বিয়েটা হয়তো হতো না।
— আসলে হইতো সবটাই ডেস্টিনি। যেমন অকারণে অন্যের উপর করা রাগ আমার উপর দেখানো টা কিংবা অকারণে তোমার কাছ থেকে কথা শোনাটাও আমার ডেস্টিনি। ঠিক তেমন!
— তুমি আমায় কতটা বুঝো। কেমন একটা শান্ত হয়ে গেলাম তোমার কাছে বসে।
— আমি যে তোমার “টনিক”…
— ছাই!
— ও ঠিক আছে। আমি চলে যাচ্ছি। একা একা থাকো তুমি রুমে।
— মাথায় একটু বিলি কেটে দাও… একটু শুই তোমার কলে…
“কিছু কিছু সময় মানুষ ভুল বলছে জেনেও আমরা তাকে ভুল বলতে দিই, প্রতিবাদ করি না… হয়তো সাময়িক ভাবে নিজেদের ভীষণ খারাপ লাগে। কিন্তু খানিকটা সময় পরে যখন সে নিজের ভুল বুঝতে পারে; তখন হয়তো ভালোবাসা কিংবা ভালোবাসায় সিক্ত বোঝাপড়াটা দুজন মানুষকে আগের থেকে আরো কাছে নিয়ে আসে। এভাবেই হয়তো দিন থেকে মাস, মাস কেটে বছর তারা একে অপরের হাত শক্ত করে ধরে একসাথে রয়ে যায়।”❤️❤️.