স্মৃতিতে বাইশ (মনে রাখার মত একটা বছর) - অতনু মাইতি - MeghPori

স্মৃতিতে বাইশ (মনে রাখার মত একটা বছর) – অতনু মাইতি

স্মৃতিতে বাইশ (মনে রাখার মত একটা বছর) - অতনু মাইতি Meghpori

মার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু মুহূর্ত যা আজও স্মৃতিতে এক অনুভূতি সৃষ্টি করে। একটা দিন, একটা সপ্তাহ, একটা মাস এইভাবে একটা বছর কেটে গেল কিন্তু স্মৃতিতে বাইশের কিছু মুহূর্ত থেকে গেল। সুখ দুঃখ নিয়ে এরই মধ্যে স্কুলজীবন কাটিয়ে কলেজ জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছি।

হঠাৎ করেই স্মৃতিতে মনে রাখার মত একটা ঘটনা ঘটে গেল। যা পৃথিবীর স্বাভাবিক ছন্দরীতিকে বদলে দিল। ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আমার মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলো। তার ঠিক কিছুদিন পরেই ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব স্থানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন শুরু হয়ে গেল।

দেশের সব স্থানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থগিত হয়ে গেল। এত দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকেনি। অবশ্য এর মধ্যেই আমার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার সময় চলে এলো। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ থাকলেও সরকার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইনে ও টিভিতে ক্লাস শুরু হয়ে গেল।
২০২২ সালের ২ এপ্রিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হলো এবং ২৬ এপ্রিল পরীক্ষা শেষ হয়। আমি কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (BTech, CSE) নিয়ে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হলাম।

দিনটা ছিল সোমবার সকাল দশটার কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম এবং সেই প্রথম দিন কলেজে গিয়ে আমার মনটা ভরে গেল। কলেজ পৌঁছানোর পর শুরু হল নবীন বরণ অনুষ্ঠান। তাদের বরণ করে নিতে, ছিল নানা আয়োজন।

নবীনদের রজনীগন্ধা ফুলের স্টিক, একটা কলম, একটা বই এবং একটা খাতা ও গোলাপ ফুল দিয়ে বরণ করা হল। এরপরই আমাদের কলেজের প্রিন্সিপাল স্যার শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করলেন।

অনুষ্ঠান শেষে স্যার সবাইকে নিজের শ্রেণিকক্ষে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন এবং করোনা ভাইরাসের সতর্কবার্তা সবাইকে বোঝালেন

শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের পর আমার মনে হয়েছিল স্কুলজীবন শেষ হয়ে এখন কলেজের পড়াশোনা করার দিন এসে গেছে। প্রথম দিন হল স্যারদের সাথে এর সাথে আলাপ-পরিচিতির পর্ব। তিনি প্রথমে নিজের পরিচয় দিলেন ও পরে আমাদের পরিচয় নিলেন।

সেই দিন ছিল স্মৃতিতে মনে রাখার মতো একটা দিন। তারপরে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বিকেল পাঁচটা নাগাদ আমি বাড়ি ফিরলাম।
দিনটা কখনোই আমি ভুলতে পারবো না স্মৃতির পাতায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।।

Please rate this Post

4/5 (2)

Comments are closed.