বছর শেষে এসে দেখি হিসেবের খাতা ফাঁকা
পাওয়া না পাওয়ার হিসেবটা তাই এবেলাই তুলে রাখা।
বছর যায় বছর আসে বদলায় শুধু ক্যালেন্ডার
আমরা দাদা নিম্নবিত্ত, পরিবর্তন হয় না অবস্থার।
বাইশ দিলো অনেক কিছু , চোখের জল আর টেনশন
মোকদ্দমা, থানা-পুলিশ, অস্তিত্বের সংগ্রাম।
ভাইয়ে-ভাইয়ে দ্বন্দ্ব দিলো, সম্পত্তি তার কারণ,
এক টুকরো জমির জন্য নিয়ে নিচ্ছিল এক ভাইয়ের জীবন।
আয়ের থেকে ব্যয় বেড়েছে, টাকা যাচ্ছে আইন-মামলায়
কাজ-কর্ম প্রায় বন্ধ, সিদ্ধ ভাতেই দিন কেটে যায়।
তার উপর লেগেই রইল, অসুস্থতা-ডাক্তার-ওষুধ
ঈশ্বরও বেশ নিচ্ছে মজা, তামাশাটা দারুণ মধুর।
দিনের শেষে অঙ্কের উত্তর সবই দেখি নেগেটিভ
হারই কেবল সঙ্গী হল, হল না ন্যায়ের জিৎ।
ভিতরে জমছে কষ্ট, শত্রু এখন নিজের লোক
অপরাধের সমর্থক বেশি, উস্কানি দিচ্ছে পুরোনো ক্ষোভ।
আমার বাইশ ঐতিহাসিক, অন্যায়ের বিপক্ষে লড়াই
ক্ষতি অনেক হবে জানি, তবু বাবার মতো সাহস চাই।
একটা বছর চিনিয়ে দিলো মানুষগুলোর স্বরূপ,
সমস্যাতেও ভেঙে না পড়ে মুষ্টি রাখো অটুট।
বাইশ বলেছে শক্ত হাতে হালটি ধরতে হবে,
বাইশ বলেছে ধৈর্য ধরো জয় ঠিকই হবে।
বাইশ বলছে সামনে এখনো সংঘর্ষ অনেক বাকি,
বাইশ বলছে সত্যের পথে চলতে যেন থাকি।
আমার বাইশ স্মরণীয়, সম্পূর্ণ কাঁটায় ভরা,
আমার বাইশ চোখের জলে আগুন ধরিয়ে জ্বলা।