আমার চোখে আমার ভারত
(এগিয়ে দেশ) – মানিশঙ্কর কাঁড়ার
১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্টের দিনটি ভারতের সোনালী ইতিহাসে অঙ্কিত হয়েছে। সেই দিনটি যেদিন ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারত স্বাধীন হয়েছিল৷ এটি ছিল একটি কঠিন ও দীর্ঘ সংগ্রাম যেখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও মহাপুরুষ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ভারত প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট তার স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন করে। গত বছরে ভারতের স্বাধীনতার দীর্ঘ ৭৫ বছর স্মরণে, শুভ দিনটি “Azadi Ka Amrit Mahotsav ২০২২” হিসাবে পালিত হচ্ছে। এই দিনটি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা অর্জনে আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করতে সহায়তা করে। স্বাধীনতা দিবস, আমাদের দেশের ইতিহাসে “রেড-লেটার ডে” নামে পরিচিত, সারা ভারতে একটি জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়।
যেহেতু, স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর কেটে গেছে আমাদের অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন জেগে উঠে, যেমন আমাদের দেশ কি বয়সেই এগিয়ে না উন্নতির দিক থেকও এগিয়ে? আমাদের দেশ কি উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের পথে কেমন অগ্রগতি হচ্ছে?
আমার মতে আমার দেশ উন্নত দেশ না হলেও, উন্নতির সিঁড়ি দিয়ে উন্নত ও শক্তিশালী দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমার কেনো মনে হয়ছে যে আমার দেশ উন্নতির পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে সে বিষয়ে আমি আমার কিছু দৃষ্টিভঙ্গি এই প্রবন্ধতে নথিবদ্ধ করেছি।
ভারত বিশ্বশক্তি দেশ যেমন গ্রেট ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করেছে৷ এটি বিশ্বের জনসংখ্যার এক-যষ্টাংশ বাস করে, একটি অনন্য গণতান্ত্রিক নৈতিকতা বজায় রাখে এবং জাতীয় স্বার্থ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির সাথে সংহতির বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে৷ ২০২২ সালে ভারত সম্প্রতি যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রীতি ২০২৩ সালে, অনুমান অনুসারে ভারত চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে৷ ভারত সমর বিশ্বে বুদ্ধিবৃত্তিক মস্তিষ্কশক্তির বৃহত্তম রপ্তানিকারক। ভারত চিকিৎসাশাস্ত্রে অনেক এগিয়ে আছে, কোভিড-১৯ এর টিকা ভারতেই প্রথম তৈরি করে ও অন্যান্য দেশকে প্রদানও করে ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির স্বাধীনতার ৭৫ বছর উৎযাপন করায় ভারতকে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেছেন৷ অলিম্পিকে অংশগ্রহণের ১২১ বছরের মধ্যে ভারত সবচেয়ে বেশি পদক জিতেছে।
সম্প্রতি ভারত ১ই ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ৩০শে নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত G20-এর মুখ সচিব পদে ধারণ করে৷ এখন ভারত সমস্ত প্রধান আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বৈশ্বিক স্থাপত্য এবং শাসন গঠন এবং শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে৷ ভারত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতেও অনেক এগিয়ে , গত বছর ভারত সফভাবে দুটি শক্তিশালি মিসাইল ব্রক্ষস ও অগ্নি-৫ পরীক্ষা করেছে৷ যার ফলে ভারত পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান, চিন, শ্রীলঙ্কা থেকে অনেক শক্তিশলী হয়ে উঠেছে। ২০২২ সালে ভারত ইসরোর (ISRO) সাহায্যে ESO-06 স্যাটেলাইট এবং আটটি ন্যানো-স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করে৷ প্রধনমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি এই বছরের প্রথমেই ভারতের উচ্চ গতির ট্রেন – বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালু করেন৷ পরবর্তী কিছু বছরের মধ্যে ভারত সরকার আরো অনেক উচ্চ গতি সপ্পণ ট্রেন ও মেট্রো এর পরিষেবা শুরু করবে, যেটি দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রযুক্তির দিকে থেকেও, উচ্চ গতি সম্প্ন 50 নেটওয়ার্ক ভারতের অনেক জায়গায় শুরু হয়ে গেছে। এইভাবে ভারত যদি অগ্রসর হয় তাইলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে একদিন ভারত একদিন বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালি এবং উন্নত দেশ হবে।
শ্রী অতুল প্রসাদ সেন এর কবিতা – “বল বল বল সবে শত বীণা বেনু রবে, ভারত আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে।” অনুযায়ী বিশ্বের সমস্ত পদে ভারতীয়দের দখল হবে৷
ধন্যবাদ।।