চুমু – সমর্পিতা গিরি
চুমু শব্দটা শুনে কত কি ধারণা মাথায় আসছে তাইনা! এই শব্দটা কত যে সুখ আনন্দ তা বলার বাইরে। অনেকের কাছে আবেগ যেমন ছেলে মেয়ের থেকে ভালোবাসায় চুমু পেতে বেয়াকুল আর ওপর দিকে চুমু তে জ্বালা যেমন বাবার খোঁচা দাড়ির চুমু বাচ্ছা গালে খোঁচা লাগলে জ্বালা বটে। এইবার যদি বলি চুমু দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে এটা শুনতে একটু অবাকই লাগে।
আসল ঘটনায় আসি, বেশ কিছুদিন আগের কথা একটা বাইক এ করে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে যাচ্ছিলো রাস্তা দিয়ে। গতিবেগ আন্দাজ ১৫-২০ হবে ! বেশ গল্পে মশগুল হয়েই চালাতে চালাতে যাচ্ছিলো। মাঝে মাঝে কথা বলতে বলতে পেছনে ফিরে একে ওপরের দিকে তাকিয়ে কথা বলছিল। রাস্তা যদিও সেরকম জনবহুল ছিলনা। ছেলেটি চালাতে চালাতে পেছনে ঘুরছিল মাঝে সাজে আর তাকে চুমু দিচ্ছিল। কি ভারী সুন্দর দৃশ্য। এর ই ক্ষণে হটাৎ ই ছেলেটি সামলাতে না পেরে সামনে একটা টোটো-রিকশার সঙ্গে মারলো ধাক্কা। মোটামুটি জোরেই লেগেছিল দেখে লাগলো। হতনা দুর্ঘটনাটি যদি না চুমুটি দিত আর সামনে দেখতো আর সজাগ হতো। যা দেখে বুঝলাম ছেলেটার বেশি লেগেছে, মেয়েটির কম। টোটোরিকশার কিছু হয়নি আর চালক এর লাগেনি। এছাড়া পেছনে কোনো লোক ও ছিলনা। দোষটা মূলত টোটোরিকশার-ই ছিলো তার কারণ রাস্তার মাঝে বাইক আসা দেখা সত্বেও পার হচ্ছিল। যাই হোক দুই দল এর মাঝে তর্ক হয়। টোটোরিকশা কিছু বলতে যাওয়ায় পেছনে থেকে আর একটি বাইক এসে বলে যে দোষটা বাইক-এর ছিলনা, তাই টোটো চালক চুপ করে যায়। যদিও পেছনের বাইকটি দেখেনি ছেলের আর মেয়ের কাণ্ডটি। দেখে লাগলো ছেলের জোরে লাগায়, মেয়েরও লাগায় কথা না বাড়িয়ে চালিয়ে বেরিয়ে যেতে চায় তাড়াতাড়ি। বাইকটার একটু ও ক্ষতি হয়নি। তারা বেরিয়ে যায় চালিয়ে এবং একটু এগিয়ে দাড়িয়ে মেয়েটি ছেলেটির হাতে জল দেয় বোধয় হাতে বেশি আঘাত লেগেছে, সেটা মুখের ভঙ্গিমা দেখেও লাগছিল। যাই হোক চুমু এরকম সুন্দর জিনিস কি বড়ো ক্ষতি করতে করতেই রয়ে গেলো। ভাবা যায়!