প্রিয়তমা রাই,
আবার আজ.. তোমায় দেখা, অনেক মাস পর। আবার তোমার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেরই ঠোঁট কামড়ে, দু-চোখ থেকে আবেগ ঝরে পড়া আটকানোর চেষ্টা। আবার সেই চিনচিনে ব্যথা.. বুকের ভেতরে টাইফুন। কিন্তু সময়টা মাত্র কয়েক সেকেন্ড..
শাড়িতে তোমাকে সবদিনই ভীষণ ভালো লাগে। হুম্-..যাই হোক.., তুমি একটুও পালটে যাওনি জানো। অন্তত দূর থেকে দেখে আমি যেটুকু চিনেছি তোমায়..। সেই ছটপটে হাসিখুশি একটা মেয়ে..! কিন্তু আমার চোখে চোখ পড়লেই শান্ত।
আর… আমার কথা না হয় ছেড়েই দাও। হুম্-ম্.. শ্রাবণের পূজারী তো.. তাই আমার আকাশে নাকি রোদ ওঠে না। নাহ্.. আমার বক্তব্য নয়, একজন প্রাক্তন প্রেমিকা বলেছিল এইটা।
“প্রাক্তন-প্রেমিকা”… ওদের প্রতি নাকি তোমার চিরদিনই রাগ.., ইয়ে মানে.. বান্ধবীদের মুখে শুনেছি আর কি.!?
জানো তো রাই, প্রতিটা মানুষই একটা ঘর চাই। না.. ইট-বালি-সিমেন্টের ঘর না.., দিনের শেষে প্রতিটা মানুষেরই দরকার পড়ে, একটা মানুষের। যার সামনে সে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারে। যার মধ্যে সে মায়ের পর দ্বিতীয় কাউকে ভালোবাসার ইচ্ছে খুঁজে পাই।
খুঁজে গেছি.. পাইনি বিশ্বাস করো..। গুটিকয়েক গার্লফ্রেন্ড বদলেছে শুধু,… “ভালোবাসাটা” বোধহয় হয়নি..!?
চরিত্রহীনের তকমা লেগেছে গায়ে,.. অভ্যেস হয়ে গেছে যায় আসে না আর.. ছাড়ো!!
সাত-সাতটা বছর কম না.. রাই, সাত-সাতটা বছর কম না। কিন্তু একবারও বিরক্ত করার কথা মাথায় আসেনি জানো..? আসবেও না.., আমি জানি “সম্মান ভালোবাসার প্রথম ধাপ”।
তুমি আমাকে ভীতু বলতে পারো। কিন্তু সত্যিটা কি জানো..? কখনো সুযোগ পাইনি তোমাকে কথাগুলো জানানোর।
ভালোবাসি..!! সেটা তোমাকে নিজের মুখে বলার।
তুমিও যোগাযোগের কোন উপায় দাওনি…
স্বপ্নে আসো, কল্পনায় আসো, তাই এই চিঠি লেখা.., তাই গান লেখা.., শুধু এটাই ভাবি আমাকেও হয়তো ভালোবেসেছিলে তুমি রাই.., হয়তো বলতে পারোনি আমারই মতো।
হয়তো তুমি-আমি সাথেই ছিলাম, “কোন এক বৃত্তের” – শুধু মেরু দুটো আলাদা, আর মাঝে অসীম দূরত্ব…
ভালো থেকো রাই..!! চিঠির উত্তর দিও… কল্পনায়..!!…