সবশেষে যে তোমারে পাইলো – সালমান হাবীব
সবশেষে যে তোমারে পাইলো,
সে যেন তোমারে কিনয়া দেয়,
বাড়িতে ফেরিওয়ালা আসলে শখের কানের দুল।
সে যেন বুঝতে না দেয়,
ভালোথাকা আর ভালোবাসার মাঝে পার্থক্য।
সে যেন ফুল ভালোবাসে,
সে যেন তোমারে সামলায় ঠান্ডা মেজাজে।
যেমন তুমুল বাতাসে কিশোর সামলায়
আশমানে থাকা পাগলা ঘুড়ির লাটাই!
অথবা কৃষক ধান কাটার সময় যেমন সামলায় শাহাদাত আঙ্গুল।
সে যেন হয় বই, বাংলা বই.. লালমলাট,
তুমি যেন তারে পড়তে পারো সহজেই,
মুখস্থ কইরা নিবার পারো অতি দ্রুত।
সে যেন তোমার কাছে শুনতে চায়,
তোমার সবচেয়ে দুঃখের গল্পটা।
অনেকেই তো তোমারে পায় নাই..!?
ইরাকের বাদশা মন্ত্রীর চরিত্রহীন পোলা,
মেম্বারের নেশাখোর পোলা,
স্কুলের জুনিয়র, কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের ছেলেটা,
ভার্সিটির বড়ো ভাই,
অথবা বাসার সামনে গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা হতভাগা আমি।
সবাইরে হারিয়ে যে তোমারে সবশেষে পাইলো…
সে যেন তোমারে পাইয়া খুশি হয়।
যেমন খুশি হয় কাঙ্গাল জেলে শুন্য জালে
হঠাৎ আটকাইয়া গেলে এক ঝাঁক ইলিশ..!!
সবশেষে যে তোমারে পাইলো,
সে যেন তোমারে সামলায় ঠান্ডা মেজাজে।