যেমন ভাবে বছরর মধ্যে তিন খানা দুই আছে, ঠিক তেমনভাবে এই বছরও আমার বাড়ির বাগানে একটি বিড়াল তিনটি ছানার জন্ম দেয়। যখন অল্প চোখ মেলতে মেলতেে ওরা প্রথম তাকায় মন ভরে গিয়েছিল। তারপর আস্তে আস্তে চোখের সামনে তাদের বেড়ে ওঠা। হঠাৎ একদিন কলেজ থাকাকালীন ফোনটা বেজে ওঠে, ওদের তিলজনের মধ্যে দুই জন নাকি আর নেই.. কারনটা, ওদের মা হঠাৎ নাকি ওদের মুখে করে নিয়ে বাইরে যেতে কুকুররা ধরলে ওরা ওখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। শুনে মনটা ভেঙে যায়, তাও মনকে বোঝায় যে আছে তাকে যেন ওরম পরিহিতির সম্মুখীন হতে না হয়। যতটা পারতাম চোখে চোখে রাখতাম। প্রতি মাসে মাস ওকে নিজের চোখের সামনে বড়ো হতে দেখি।
কিছু সুখ যখন আসে দুঃখটাও মনে হয় পিছু পিছু আসে, তখন ওর ছয় মাস হতে ২ দিন বাকি ভোর রাতে ওর মা ওকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল, কিছু হঠাৎ এক বড়ো বিড়াল ওর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে যেহেতু ও বাড়ির বিড়াল ছিল আচমকা ভয়ে একটা ছোটো নালি দিয়ে বেড়োতে গিয়ে খুব ব্যথা পায়।
তারপর প্রথমদিন ভয়ে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরের দিন ডাক্তার আনা হলে ঔষুধ দিয়ে যায় তা চলতে শুরু হলেও ওর হাঁটার ক্ষমতা একেবারে শেষ হয়ে যায়।
কিন্তু ঔষুধ-এ কাজ করা শুরু হলে এক মাসে অনেক সুস্থ হলেও হাঁটাচলা ঠিকমতো না হলে আবার ডাক্তারে খবর দিলে দ্বিতীয়বার আবার ভয়ে জড়তা হয়ে যায়। সেই দিনও অনেক কষ্টে রাতে খাওয়ানো হলেও পরের দিন, ওর সাত মাস হওয়ার দিন, অতিরিক্ত ভয় হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। আর এইভাবে ওঠা-পরা ওর সাত মাসও কেমন যেন এক মুহুর্তে চোখে ভেসে ওঠে। আর এইভাবে ২০২২ এক শিক্ষা দিয়ে যায়, সেটা হল উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগ আর ধৈর্যের ব্যবহার।